Friday, 17 February 2017

কুরুলিয়া [আজহারুল ইসলাম সোহাগ]


পুলকে ঢলঢল মনে নাহি সমিরণ,
কুরুলিয়া নদী পার বহিনু একমন।
হাসগুলো সন্তারিত ভাসে নদী জল,
তনু ভরে বায়ু লাগে ধীরে উরে আঁচল।
বলাকা উড়ে বেড়ায় চঞ্চুতে ধরে মাছ,
নদীজলে জাল ফেলে ধীবর কাটায় বারোমাস।
স্রোত চলে সারা বেলা পানা গুলো সাতরায়,
হাল ছেড়ে কোন তীরে তারা যে আসে যায়।
স্নান করে দু’পারে দু’গায়ের সাধারণ;
বিকেলের রৌদ্র যেন করে তাদের আস্ফালন।
দ’ধারে দু’তীরে, কত লোক গান গায়,
রাখালের বাঁশির সুরে তা যেন থেমে যায়।
নাও চড়ে পাল তুলে মাঝি যায় বেয়ে
অচীন সুরে গান তার ঝরে মধুর হয়ে ।
জেলে নদী জাল ফেলে বসে আসে বাঁশে ‘পর
মাছ যেন আসে যায় জালে ঠেকায় অধর।
আলী মিয়া নেংটি মেরে সব যায় হেরা,
আন্তা দিয়ে মাছ ধরে ক্ষণে ক্ষনে ছেড়া।
স্বজনগুলো পার করে আপন লোকে,
পার কারে দেয় যে ডিঙ্গি নাও দিয়ে।
গোধুলি হয়ে গেলে সবে যে ঘরে ফিরে,
নদীর কুলকুল ধ্বণি মম কর্ণে ঝরে।
সাঝ বেলা সূয্যি ডোবে সব যেন অচেনা,
অন্ধকারে ফেলেছে নদীজলে অকরুণ ছায়া গনা’।
ট্রেনের ঝনঝনে, নদী জল করে খেলা
নদী পারে বসি রচি মন একলা।

কুরুলিয়া নদীর তীরে, ব্রাক্ষণবাড়িয়া
৫ জৈষ্ঠ, ১৪১৪


EmoticonEmoticon